নিজস্ব প্রতিবেদক
পানির তীব্র স্রোতে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিলে গত মঙ্গলবার লৌহজংয়ের শিমুলিয়া নদীবন্দরের ৩নং ফেরী ঘাটটি বিলীন হয়ে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের বড় আকৃতির ফেরীর চলাচল। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ ভাঙন ঠেকাতে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে উদ্যোগ নিলেও রো রো ফেরী ঘাটটি আপাতত সচল হচ্ছে না। এদিকে নদীতে তীব্র স্রোতে প্রতিদিনই ব্যাহত হচ্ছে ফেরী চলাচল। ভাঙনের কবলে বর্তমানে ৪টি ঘাটের বিপরীতে ৩টি সচল রয়েছে। আর তীব্র স্রোতের কারণে ১৪টি ফেরীর স্থলে ৯টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরী স্বল্পতায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। প্রতি মুর্হুতেই বাড়ছে গাড়ির সারি। এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। প্রতি ঈদে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার লাখো মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে জমায়েত হয় এই শিমুলিয়া ঘাটে। একদিকে নদীতে তীব্র স্রোতে ফেরী চলাচল বারবার ব্যাহত, অন্যদিকে নতুন করে ঘাট এলাকার ভাঙন পরিস্থিতিতে এবার ঈদ যাত্রায় এসব যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও লৌহজং উপজেলা প্রশাসন। যাত্রী পারাপারে ফেরীর পাশাপাশি ৭৬টি লঞ্চ ও ২০০ স্পীডবোট শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সচল থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে গতকাল বুধবার শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, ঘাটের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামতের কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি। ভাঙন রোধে এদিন ৪৫০ জন শ্রমিকের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৩নং ফেরী ঘাটটি রো রো ফেরীর জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে আপাতত রো রো ফেরী ২নং ঘাট ব্যবহার করবে। ঈদ যাত্রায় যেনো যাত্রীরা ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, আকস্মিক ভাঙনের কারণে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির যৌথ প্রচেষ্টায় এখন ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়। এবারের ঈদে যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।