নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া এক পোশাক শ্রমিকের লাশ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়নে বিয়াঙ্গারু গ্রামে গত শনিবার গভীর রাতে এনে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে দাফনে বাধা দেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে রাতেই লাশটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। নমুনা সংগ্রহের জন্য মৃত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীসহ ৪ স্বজনকে নিয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। গতকাল রোববার সকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ দাফন বা নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়নি।
শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামসুজ্জোহা জানান, নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া আবদুর রহিম (৫০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ এনে গভীর রাতে নিজ গ্রামে দাফনের চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। এলাকার লোকজন এতে বাধা দেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন লাশটি উদ্ধার করে।
শাহজাদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, লাশ ও স্বজনদের আপাতত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। স্বজনরা ওই ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে, নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার আগেই ‘ব্রডডেথ’ বা বাড়িতে মারা গেছে। গত শনিবার দুপুরে আবদুর রহিমকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে কীভাবে গ্রামে তারা লাশ নিয়ে এলো তা ভেবে হতবাক হয়েছি। সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আবদুর রহিম ও তার স্ত্রী-স্বজনদের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নমুনা সংগ্রহের পর লাশ দাফন এবং বাকিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রক্রিয়া করা হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে শুধু মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস আছে। লাশের গাড়ি চেক করার মতো প্রয়োজনীয় পিপিই বা নিরাপত্তা পোশাক নেই। ফলে অন্য গাড়ি কঠোরভাবে চেক করা হলেও রোগী বা লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স সেভাবে চেক করা হয় না।’
শাহজাদপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, লাশটি আনার পর পুলিশকে জানানো হয়নি। পরে এলাকাবাসী তাদের খবর দেয়।