নিজস্ব প্রতিবেদক
লাগামহীন হয়ে ছুটছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার। শ্রীনগর উপজেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। বিশেষ করে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষ। সামনের দিনগুলোতে এ দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে না ধরলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বোবা কান্না শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চালের বাজারে নেই স্বস্তি। সপ্তাহের ব্যবধানে একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। আর ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির কেজি। তিনদিনেই বেড়েছে ৫০ টাকা। দামবৃদ্ধির দৌড়ে পিছিয়ে নেই ডিমও। খুচরায় প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭০০-৭২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, আর মিনিকেট চালের কেজি ৭৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৮ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২০০ টাকা কেজি দরে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। এছাড়া টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
সাবেক শিক্ষিকা শাহরিয়ার সুলতানা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। চালের পাশাপাশি ডাল, তেল, আটা, চিনি, তরকারি, মাছ, মাংসের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দরিদ্র, খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে শুধু দরিদ্র মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও নানারকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।