নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। সোমবার গজারিয়া উপজেলায় সন্ত্রাস, নাশকতা প্রতিরোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোঃ মহাসিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূঁইয়া, ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আহমেদ জিন্নাহ, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ মোহাম্মদ লিটন, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েল, টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন মাষ্টার, ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোঃ কামাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উপর। এজন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে সামাাজিক সচেতনতা এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একইসাথে ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে মাদকসেবীদের সুষ্ঠু সমাজে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জে সন্ত্রাস, নাশকতা, চাঁদাবাজী, বালুদস্যুতা, চর দস্যুতাকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রভাব প্রতিপত্তি কোন কিছুকেই গ্রাহ্য না করে অপরাধ এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে যেন ছাড় না দেওয়া হয়।
মৃণাল কান্তি দাস আরও বলেন, আইন বাস্তবায়নকারী ও প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে; জনগণের প্রকৃত বন্ধুরূপে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেবার মধ্য দিয়ে জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দুর্নীতি ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।