নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মিরেস্বরাই বাগবাড়ি শত বছরের পুরনো একটি খাল ভরাট করে ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, শত বছরের পুরনো এ খালে একসময় এলাকার মানুষ গোসল করতো। এছাড়াও এই এলাকার সাধারণ মানুষের নানাবিধ কাজে ব্যবহার হতো এ খাল। এই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বৃষ্টির পানি এ খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধলেশ্বরী নদীতে গিয়ে পড়তো। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিগত ১৫-২০ বছরে খালের চারপাশে ধীরে ধীরে বালি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটিকে সম্পূর্ণরূপে ভরাট করে ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ উঠেছে, কয়েক বছর ধরে পুরনো ওই খালটির পাশ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে রাস্তায় জমছে পানি। যার ফলে প্রতিনিয়তই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি খালটি ভরাটের ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত খাল পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছে তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে খালটি ভরাট করে দখলদাররা তাদের ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে সরেজমিনে বাগবাড়ি গোসাইবাগ এলাকায় দেখা যায়, বাগবাড়ি খালটি যে যার মতো করে দখল করে ভরাট করে ফেলেছে। বর্তমানে খালটির পাশে যে রাস্তাটি রয়েছে সামান্য বৃষ্টিতেই যেন কয়েক ফুট পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বাগবাড়ি খালটি ভরাটের ফলে একদিকে জলাবদ্ধতা ও অপরপাশে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিন দিন খালটি ভরাটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই খালে পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। সরকারি খালটি দখলের প্রতিযোগিতা চললেও প্রশাসন বাধা দেওয়া অথবা খাল দখল ও ভরাট বন্ধের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আল-আমিন জানান, খালটি দখল করে অনেকে ভরাট করে ফেলেছে। খাল ভরাটের বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দখল অব্যাহত রয়েছে।
পঞ্চসার ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এস এম গিয়াস উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। সরকারি খাল কেউ অবৈধভাবে দখল ও ভরাট করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, বাগবাড়ি এলাকার সরকারি খাল দখলের বিষয়ে অবহিত রয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে খাল দখল ও ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চসারে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণে জলাবদ্ধতা ; ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
আগের পোস্ট