নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে গোসলে করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নুরুল হকের লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভাসমান অবস্থায় লাশের সন্ধান পান মাওয়া নৌ পুলিশের সদস্যরা। এর আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের পাশে পানিতে ডুবে সব্যসাচী সোম দাশ ও নুরুল হক নিখোঁজ হন। ওইদিন বিকেল চারটার দিকে নদী থেকে সোমের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নুরুল হক রাজধানীর বাড্ডার নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হকের ছেলে। সব্যসাচী সোম দাশ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকার সরোজ কুমার দাশের ছেলে। এ দু’জন রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. ফোরকান মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ৭টা থেকে আবারও নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলার বর্ণপাড়া এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।
সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুল হক, সোম দাশ, তাদের বন্ধু ইমরান হোসেন ও গাড়িচালকসহ চারজন ট্রলারে করে ঘুরতে যান। পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের কাছে পদ্মার চরে গিয়ে তাদের ট্রলার থামে। সেখানে ট্রলার চালকসহ ওই চারজন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন। এসময় স্রোতের তোড়ে নুরুল ও সোম পানিতে তলিয়ে যান। নুরুল হক তার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলেন।