নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, পদ্মা-মেঘনা ও ধলেশ^রী নদী ভাঙনের করাল গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়াবাসীর পাশে দাঁড়ান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা করুন। নদী ভাঙন ও বন্যা রোধে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসজনিত মানবিক দুর্যোগের মধ্যে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে হাজির হয়েছে বন্যা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি উজানের বন্যার পানির তীব্র স্রোতে নদীভাঙন তীব্রতর হয়েছে। ফলে করোনাকালীন এই দুঃসময়ে বন্যা ও নদীভাঙনে মারাত্মক আর্থ-সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বন্যার্ত ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের করাল গ্রাসে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নদ-নদী পরিবেষ্টিত গঙ্গেয় ব-দ্বীপ খ্যাত বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন নদী-ভাঙন ও বন্যা রোধে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জ এলাকাটি পদ্মা-মেঘনা, ধলেশ^রীসহ অসংখ্য নদ-নদী পরিবেষ্টিত এবং রাজধানীর নিকটবর্তী হওয়ায় একটি ঘন-জনবসতিপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। ফলে মুন্সীগঞ্জ এলাকার নদীভাঙন রোধে প্রয়োজন স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ এবং টেকসই পদক্ষেপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি।