নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে আজ মঙ্গলবার বসানো হবে সেতুর ২৬ তম স্প্যান ‘৫-ডি’। ২৫ তম স্প্যান বসানোর ১৮ দিনের মাথায় সেতুর ২৮ ও ২৯ নং পিলারের উপর ২৬ তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৩ হাজার ৯০০ মিটার অংশ। পদ্মা সেতুর নির্ভরযোগ্য প্রকৌশলী সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে স্প্যানটি রওনা করে। বেলা ৯টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯নং পিলারের কাছে এসে পৌঁছে ক্রেন নোঙর করে রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম। ইতোমধ্যে মাওয়া প্রান্তে দুইটি স্প্যান এসে যোগ হয়েছে, বর্তমানে ৩৯টি স্প্যান রয়েছে।
এদিকে এর মধ্যেই সেতুর ৪০টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বাকি ২টি পিলারের কাজ শেষ হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ২২টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। ম‚ল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।