নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ইয়ো চীনের পথে। গত ১০ ডিসেম্বর ৪১ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরো দৃশ্যমান হয় ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল এই ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ইয়ো। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় গতকাল রবিবার সকালে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি জানান, ক্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে সকালে মাওয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে চীনে পাড়ি জমাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ক্রেনটির যাত্রা নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় মাদার ভেসেলে সেটি হংকংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। যেতে সময় লাগবে একমাসের বেশি সময়। প্রসঙ্গত, চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার বিশেষ ধরনের এই ভাসমান ক্রেনটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা। এতো বড় ক্রেন সচরাচর পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে আনা হয়। সে বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে চলতি বছরের গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ করে ক্রেনটি। এটি ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ পড়েছে ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ক্রেনটি ব্যবহারে গত ৪৫ মাসে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় এই ক্রেনটির আর কোন কাজ নেই। ক্রেনটি দিয়েই পদ্মা সেতুর জটিল কাজ স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিলো। এখন যে কাজ রয়েছে তা বেশীরভাগই নদীর উপরে।