নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সড়ক পথ ও রেলপথ একসাথে চালু হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নির্মাণ কাজের কারিগরি বিষয় নিয়েই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের প্রকল্প এলাকায় কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেল পথের কাজ শুরু অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। আর রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
‘তবে আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কর্তৃৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথেই শেষ করা যায়।’- বলেন মন্ত্রী। সড়ক চালু হয়ে গেলে রেলপথ নির্মাণ করা আরো কষ্টকর হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘একসাথে কাজ শেষ করতে না পারলে রেললাইনের কাজ করতে সমস্যা হবে কেননা, সেতুতে যান চলাচল শুর করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।’
সেই ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ পেছাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রেল পথের জন্য মূল সেতুর উদ্বোধন পেছাক সেটা চাইনা। তবে একসাথে কাজ শেষ করতে না পারলে রেল পথ নির্মাণে সমস্যা হবে।’
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথের ৪৩.৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথ চালু হবে। আর আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে বলেও জানানো হয়।
ঊনচল্লিশ হাজার ২শ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪ টি নতুন এবং ৬টি বিদ্যমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়াল, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের প্রমুখ।