নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতুর ওপর থেকে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নুরুজ্জামান (৩৮) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর সন্ধান মেলেনি। গত সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সেতুর ঢাকামুখী মাওয়া অংশ থেকে নুরুজ্জামান ঝাঁপ দেন বলে জানা গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীতে ফের অভিযান চালায় নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে ঠিক কী কারণে তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নিখোঁজ নুরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের ঊর্মি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। প্রাইভেটকারে নুরুজ্জামানের পাশে থাকা ওমর ফারুক বলেন, গত সোমবার সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে আমরা গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাই সকাল সাড়ে ১০টায়। সেখানে দুই ঘণ্টার মতো অবস্থান করে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেওয়ার চেষ্টা করি। এরপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পদ্মা সেতুতে ঢাকাগামী লেনটিতে কাজ চলছে। সে কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলছিল। নুরুজ্জামান পেছনের সিটে ছিলেন। হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন।
নিখোঁজ নুরুজ্জামানের স্ত্রী সবুরা বলেন, পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার স্বামী পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তবে কী কারণে সে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে সেটা এখনও বলতে পারছি না।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন, সোমবার টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেছিলেন নুরুজ্জামান। কিন্তু ফুল দেওয়ার জন্য অনুমতি কার্ড না থাকায় সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পদ্মা সেতু ঢাকামুখী লেন দিয়ে ফেরার পথে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে ঝাঁপ দেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের স্টেশন অভিসার সঞ্জয় বলেন, পদ্মা সেতুর ১০-১১ নম্বর পিলারের অংশ থেকে ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দেন। ওই অংশে তীব্র স্রোতের কারণে ডুবুরি দল নদীর তলদেশে যেতে পারেনি। তবে নৌ পুলিশের সহায়তায় সেতুর আশেপাশের এলাকায় উদ্ধার কাজ চলছে।
ঘটনাস্থল মাওয়ায় উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ জোনের এসপি মিনা মাহমুদা। তিনি বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে।