নিজস্ব প্রতিবেদক
নয় বছরের সংসার জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে দম্পতির। কিন্তু এর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী। এমন সম্পর্কে বাধা দিলে স্ত্রী ও চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী। নির্মম এ হত্যাকান্ডের সাতদিন পর গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সেই খুনি সোলেমান হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি জানায়, গত ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার মধুপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে খালেদা আক্তার পিংকি (২৫) ও তার চার মাস বয়সী মেয়ে সালমা আক্তার জান্নাতের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ছায়াতদন্তের ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকা থেকে একমাত্র আসামি সোলেমান হোসেনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর। গ্রেফতারকৃত সোলেমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, সোলেমান আগে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে পিংকির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাদের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫) ও চার মাস বয়সী সালমা আক্তার জান্নাত নামে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর স্ত্রী ও চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেন তিনি। এরপর মরদেহ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে মেঝেতে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান সোলেমান। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।
পরকীয়ার জেরে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা
আগের পোস্ট