নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চাচীর সাথে ভাতিজার পরকীয়ার সম্পর্কের জের ধরে চাচা লোকজন নিয়ে রাতের অন্ধকারে ভাতিজা লেদু বাড়ৈ অপূর্ব (২০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৯ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শেখরনগর দক্ষিণহাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। চকের থেকে বাড়ি ফেরার সময় আরেক চাচা গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে লেদু বাড়ৈকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে আহতের বড় ভাই মানিক বাড়ৈ বাদী হয়ে চাচা ভজন বাড়ৈসহ বেশ কয়েকজনকে বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঐ মামলায় চাচা সাধন বাড়ৈকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত লেদু বাড়ৈ অপূর্ব হাঁসাড়া রঞ্জিত কুড়ি মিষ্টির দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পাশের দোকান থেকে মোমবাতি কিনে বাড়ীতে মাকে দিয়ে বাড়ীর পশ্চিম পাশে বিলে যাওয়ার রাস্তায় গেলে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তাকে এলোপাথারি ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে ফেলে চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, আহত লেদুর সাথে একই বাড়ীতে বসবাসরত চাচা ভজন বাড়ৈর স্ত্রীর দুই সন্তানের জননীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের এই পরকীয়ার সম্পর্ক চাচা ভজন বাড়ৈ জানতে পেরে ভাতিজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আরো জানা যায়, চাচা ভজনের সাবেক স্ত্রী সেতু স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার কথা শুনে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং আহতকে স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই।
শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই রিপন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে।