নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে আবারও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নববর্ষের দিন বাইরে কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। ঘরে বসে রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান হবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদযাপন করা যাবে।
আর দুইদিন পরেই বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছর বাঙালিরা বেশ জাঁকজমকভাবে পালন করে নববর্ষের দিনটি। বর্ণিল উৎসবে মেতে ওঠে পুরো দেশ।
দেশবাসী গানে গানে, আনন্দ আয়োজনে নতুন বছরটিকে বরণ করে নেয়। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে পুরো বাঙালি জাতি। কিন্তু এবার সেই আয়োজন করতে পারবে না বাঙালি।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ঝুঁকি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইরে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনসমাগম করলে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। এজন্য বাইরে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। ঘরে বসে রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান হবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদযাপন করা যাবে।
ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস সম্পর্কে দেশবাসীকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ভাইরাসটি সংক্রামক। কখন সংক্রামিত হবে তা বোঝা খুব কষ্টকর। এটাই হচ্ছে এ ভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
গণভবন প্রান্তে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আগের পোস্ট