নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামের কৃতী সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবা (পিপিএম) অর্জন করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এই পদক পরিয়ে দেন। মো. আশ্রাফুজ্জামান ২৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় এক বছরের কঠোর মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে শরীয়তপুর জেলায় সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। আশ্রাফুজ্জামান পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এলিট ফোর্স রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) এর সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে কর্মরত আছেন বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এর বিভিন্ন শাখায়। এসবি’র ইমিগ্রেশন শাখা থেকে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এডিশনাল এসপি (ইমিগ্রেশন) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন মো. আশ্রাফুজ্জামান। এসময় ইমিগ্রেশনে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির জন্য নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। করোনা শুরুর দিক থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালন ও এসবিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কর্তব্য পালনের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এ রাষ্ট্রীয় পুলিশ পদক পিপিএম সেবা পদকে ভূষিত করা হয় তাকে।
মো. আশ্রাফুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএস (মাস্টার্স ইন পুলিশ সায়েন্সেস) ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এইট টু গুড ইনভেস্ট্রিগেশন’ (সিআইডি) পুলিশ ম্যানেজমেন্ট কোর্স (পিএসসি) ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট কোর্স (পিএসসি), এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং কোর্স (ভিয়েতনাম), ক্রিমিনাল ফেইস ডিটেকশন কোর্স (কেনিয়া), অ্যালার্ট লিস্ট ট্রেনিং (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। ব্যক্তিগত জীবনে মো. আশ্রাফুজ্জামান এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।