নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ নাগরিক জীবন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বাহিনীকে ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে আস্থা, বিশ^াস, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
গতকাল মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত জেলা কমিউনিটি পুলিশং কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক প্রবীর কুমার গাঙ্গুলী, মতিউর ইসলাম হিরু, এম কাদের মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাস্টার, সিনিয়র আইনজীবী আরশেদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেছা নাজমা, কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার, আলহাজ¦ আব্দুর রব, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি মহাসীন মাখন ও অ্যাডভোকেট শাহীন মো. আমানুল্লাহ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, কমিউনিটি পুলিশ হলো সমাজমুখী পুলিশী কার্যক্রম। জনগণের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যাদি যা থেকে অপরাধ সৃষ্টি হয় তা সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সঙ্গে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন। পুলিশ ও জনগণের মধ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে সচেতন ও মুক্ত রাখার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এর অবদান হতে হবে সবচেয়ে বেশি। কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ, সরকার ও পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও সমস্যার সমাধানকল্পে অপরাধের কারণ দূরীকরণ, অপরাধ ভীতি হ্রাস ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়’।
তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অপরাধের ভিত্তিমূল মাদকের কোরালগ্রাস থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাদকব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে মাদকসেবীদের সুষ্ঠু সমাজে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের আইনী সুবিধা গ্রহণের সুযোগকে আরও গণমুখী করতেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা থেকেই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম হতে পারে একটি সফল পদক্ষেপ। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। অপরাধ দমনে পাস্পপারিক সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে এবং ব্যক্তিস্বার্থকে পরিত্যাগ করে দেশ সেবায় আত্মনিবেদন করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিংকে সফল করতে হলে পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুযোগ পাওয়া জনগণের প্রতিনিধিগণকে একজন প্রকৃত সমাজকর্মী ও দেশকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।