নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গতকাল বুধবার ভোররাতে ২য় দফায় রাসেল বাহিনীর হামলার শিকার হলো ঠিকাদার মিলন মিয়াজীর পরিবার। এই হামলায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গুরুতর আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের দুই পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকজনের চার হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মিলনের সাথে সন্ত্রাসী রাসেলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাসেল ও তার লোকজন মিলন মিয়াজীর ভাই মারুফ মিয়াজী ও হৃদয় মিয়াজীকে মারধর ও তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক তৈরি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় রাসেল তার ২০/২২জন সহযোগী নিয়ে মিলন মিয়াজীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ৯ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় পাঁচটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যায় রাসেল বাহিনীর লোকজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎকসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে আলম (৩৫) এর দুই পায়ের রগ কাটা ও জামসেদ (৫০) এর হাত-পা ও হাসান (৩০) এর একটি হাত ভেঙ্গে গেছে।
এ ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না