নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেলে দেয়া ওয়ান টাইম টি কাপ এখন সবজির বীজতলা তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। চা পানের পরপরই এ কাপটি ফেলে দেয়া হয় চায়ের দোকানগুলোতে। সেই হিসেবে এ কাপটি মূলত কোনো কাজেই আর লাগতো না কখনো। এমনটি ভাবতো সবসময় সকলেই। অথচ সেই ফেলে দেয়া টি কাপ দিয়ে মুন্সীগঞ্জে শীতকালীন সবজির বীজতলা তৈরি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ শাহআলম। ভিন্নধারায় এ উদ্যোগ আর কোথাও এ পর্যন্ত এখনো এমনটি দেখা যায়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। সেই হিসেবে এটি মুন্সীগঞ্জে প্রথম বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে অনেকের অভিমত হচ্ছে এ ধরণের উদ্যোগ বাংলাদেশের মধ্যে মুন্সীগঞ্জেই প্রথম। ফেলে দেয়া এ জিনিস দিয়ে এমনটি করা যায়, তেমন কোনো ভাবনা এর আগে কোথাও দেখা যায়নি বলে শোনা যাচ্ছে। এ ধরণের নিজস্ব উদ্যোগের চমক সৃষ্টি করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ শাহআলম। চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত এ মানুষের এ মহতি উদ্যোগ মুন্সীগঞ্জের মানুষ যুগের পর যুগ মনে রাখবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তার এ ধরণের এই অগ্রযাত্রায় খুব শীঘ্রই সামিল হতে যাচ্ছে মুন্সীগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অফিসের উপ পরিচালকের কক্ষে প্রবেশের মুখে বারান্দায় সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এ বীজতলার উপকরণসহ টিয়ের কাপ। কক্ষে প্রবেশের সময় সকলের নজরে আসবে নজরকাড়া এই রকম দৃশ্য। যা দেখলে সেই সময়ের জন্য চোখ জুড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফেলে দেয়া প্রায় ২ হাজার টি কাপ বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই টি কাপে ইতোমধ্যে মাটি ও সার দিয়ে বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র বীজ রোপণের পালা বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। তাও শেষ করে আনা হবে বলে সূত্র মতে জানা গেছে। অনেকগুলোতে ইতোমধ্যে বীজ রোপণ করা হয়ে গেছে বলে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, আপনারা আমাদের অফিসে আসার পথে দেখে থাকবেন যে, আমাদের অফিসের প্রবেশের মুখে দুটি টিয়ের দোকান রয়েছে। সেখানে অনেকেই ওয়ান টাইম টি কাপে চা পান করে থাকেন। পরে ফেলে দেয়া হচ্ছে সেই কাপগুলো। সেখান থেকেই আমার মাথায় এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে এই উদ্যোগের চিন্তা ভাবনা আসে। এরপরে আমার অফিসের পিয়নের সাহায্যে সেই টিয়ের কাপ সংগ্রহের ব্যবস্থা করি। তারপরে এই ব্যবস্থায় প্রায় ২ হাজারের মতো টি কাপ সংগ্রহ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। সেই টি কাপে সার ও মাটির মিশ্রণে কাপ ভর্তি করে এখন এগুলো সারি সারি সাজানো হয়েছে। বীজতলায় বীজ উঠার পর এগুলো জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান। যাতে তারা নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় এগুলো লাগাতে পারে। এখানে বীজতলায় শীম ও লাউসহ রবি ফসলের বীজ তলা তৈরি করা হচ্ছে।