-অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বাংলার মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে হবে। নিজেকে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার সংগ্রামে নিয়োজিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মীরকাদিম পৌরসভা, পঞ্চসার, মোল্লাকান্দি ও আধারা ইউনিয়নের ২২টি স্থানে দোয়া মাহফিল, গণভোজ ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মীরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান বাসু, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, জেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু, কৃষক লীগ সভাপতি মহাসীন মাখন, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মকবুল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম সিরাজী রোমান, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভূতি আর উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, বাঙালি জাতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন দেশই দিয়ে যান নি। তিনি একটি উন্নত সমৃদ্ধ কল্যাণকর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনাও করে গেছেন। একই সাথে একের পর এক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আজকের বাংলাদেশের অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ফসল।
তিনি বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা আর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের সাথে পরিচয় ঘটাতে হবে। তবেই আমাদের ডেল্টাপ্ল্যান, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আরও সহজতর হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল রূপায়ন ঘটবে।
তিনি বলেন, দেশকে ও দেশের মানুষকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারেন বঙ্গবন্ধুর মতো এমন দ্বিতীয়জন খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এমন আত্মত্যাগ, বিসর্জন, অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করার নজির নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকান্ডের প্রেরণা, জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিল তার কর্মকান্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব কর্মকান্ডের লক্ষ্য। নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র ব্রত। শুধু বাঙালি জাতিই নয় সমগ্র বিশ্বের তথা মানব জাতির শান্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্প বাঁসা-বেধেছিল বঙ্গবন্ধুর চিন্তাজগত জুড়ে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’