নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আলোকজ্জ্বল পথে এগিয়ে যাওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় সমৃদ্ধ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন। গতকাল রোববার মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট কৃষিব্যাংক চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মহসিন মাখন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা তপন, মোয়াজ্জেম হোসেন, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, আরিফুর রহমান, মোর্শেদা বেগম লিপি, মকবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান দর্পণ, ফরহাদ হোসেন, আবির, জলিল মাদবর, রহিম বাদশা, শাহিনা বেগম, মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা, হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, বাউশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, গুয়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের খোকন, টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মাষ্টার, ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিদ মোঃ লিটনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত করেছিল অনুপ্রেরণার দেদীপ্যমান আলোক শিখা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল “অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে’’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আলোকজ্জ্বল পথে এগিয়ে যাওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় সমৃদ্ধ স্বদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির খবরে জনতার প্রাণোজ্জ্বলতায় পরিপূর্ণ বিজয়তায় আলোকিত হয়ে ওঠে স্বাধীনতার স্বর্ণ-সূর্য। বাংলার দশ-দিগন্তে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে সংগ্রামী গণশক্তির চূড়ান্ত বিজয়ের তুর্যনাদ। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত বাংলায় নেমে আসে পরমানন্দ আর দুর্লভ তৃপ্তির বাঁধ-ভাঙ্গা জোয়ার। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসতে শুরু করে রাজধানীর পথে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ বিজয় এনে দিয়েছিল। কারণ পাকিস্তানী জান্তা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের কম চেষ্টা করেনি। সাড়ে সাত কোটি জনতার সংগ্রামী দাবী, ইন্দিরা গান্ধী, ভারত আর বিবেকবান বিশ্বের মৃত্যুঞ্জয়ী অভিপ্রায়ের প্রচন্ড চাপে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে কাক্সিক্ষত বিজয় অর্জিত হলেও বাঙালি জাতির হৃদস্পন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় অপূর্ণতার বিদগ্ধ-বিষাদে নিমজ্জিত ছিল সদ্য স্বাধীন ভুখন্ডের আদিগন্ত আকাশ। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি-স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।