নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন এবং জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ গণতন্ত্র উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৭ মে বুধবার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ শহরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মহাসীন মাখন, সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, শ্রী অজয় চক্রবর্তী, সমর ঘোষ, সুবীর চক্রবর্তী, কাউন্সিলর জলিল মাদবর, জালাল উদ্দিন রুমী রাজন, মুফতি সারওয়ার, হুমাইরা আক্তার রিমা, মনিরুজ্জামান শরীফ, জাহিদ হাসান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে এক তিমির বিদারী আলোর রেখায় হিমালয়সম বাঁধার পাহাড় পেরিয়ে এগিয়ে যাবার দিন। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্নিশপথে স্বৈরতন্ত্রের কপাট ভেদ করে মুক্তির মন্দির সোপান তলে আত্মনিবেদনের মন্ত্র-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বুটের তলায় পিষ্ট সাহস আর বেয়োনেটে ক্ষত-বিক্ষত শক্তি পুনরুজ্জীবনের দিন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ^াসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিলÑ আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতোÑ পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশে হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। সৌভাগ্যক্রমে বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর এবং খুনি খন্দকার মোশতাক চক্রের ষড়যন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রগতিশীল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ যখন চরম দুরাবস্থার শিকার, তখন আওয়ামী লীগের মতো এমন একটি বৃহৎ পরিবারের জন্য প্রয়োজন ছিল ঐক্যসূত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার অনুসারীদের ঐক্যের প্রতীক হয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আবির্ভূত হন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরার পর গত ৪২ বছরে তার জীবননাশের জন্য কমপক্ষে ২০ বার হামলা হয়েছে। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হয়েছেন। গ্রেফতার বরণ, কারা নির্যাতন ভোগ, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে চলেছেন। কোনো হামলা, হুমকি ও বাঁধাই তাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। অকুতোভয় সাহসী জননন্দিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়ন মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। জাতীয় সীমা ছাড়িয়ে তিনি আজ বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে ভূমিকা পালন করে চলেছেন।