নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। এই উদ্যোগগুলোর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
গতকাল বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল কাদির মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। এছাড়া আরও বক্তৃতা করেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা সিআইপি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রইছ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজী, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার ব্রত নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সারাজীবন তিনি এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও জীবন মানোন্নয়নে নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিÑ একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠন। তিনি চান বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায়, সবাই যেন খেয়ে পরে ভাল থাকে। তিনি চান যেন কোন মানুষ গৃহহীন না থাকে, অত্যন্ত গরীব ভূমিহীনেরও যেন মাথা গোঁজার মতো একটি গৃহ থাকে। তিনি চান অসুখে যেন সকলেই চিকিৎসা পায়।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য বিশেষ উগ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এজন্য তিনি শিক্ষা সহায়তাকে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছেন। এমনকি সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করেছেন। একইসাথে তিনি তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ দক্ষ জাতি গঠনে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকেল্পর আওতায় দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজকে বিশ^মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পসমূহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অনন্য সনদ। এই প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ এই প্রকল্পসমূহ পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে দারিদ্রতা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবেÑ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রা আরও কাক্সিক্ষত অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।