নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার পাচ্ছেন দেশের বিশিষ্ট দু’জন ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠান। প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী সংস্থা ও ব্যক্তিকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার স্বীকৃতিস্বরূপ এ তিন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
‘বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা’ ক্যাটাগরিতে প্রয়াত বন্যপ্রাণী গবেষক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান এবং ‘বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী/ব্যক্তিত্ব’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গার বখতিয়ার হামিদ মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের টিম ফর অ্যানার্জি অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী অবলুপ্তির ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে এবং প্রতিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। মন্ত্রী এ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ এর প্রতিটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ২ ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ৫০ হাজার টাকার চেক এবং সনদপত্র বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে।
সভায় পরিবেশ উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন), মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং আইইউসিএনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।