নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের হৃদয়ে চির অম্লান চির ভাস্বর থাকবেন। তিনি আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, আমাদের মহান পথ প্রদর্শক। সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার এবিজেএম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের মুজিব কর্ণার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বিদ্যালয়ে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হকসহ সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকগণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মুজিব কর্ণার উদ্বোধনকালে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকর্ম সম্পর্কে কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী মহামানব। তিনি ছিলেন বিশ্বের শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত।
তিনি বলেন, বাংলার সবুজ-প্রান্তর মেঠোপথ আর নদ-নদীর সুনির্মল মোহনায় প্রবাহিত সম্প্রীতির মুক্ত-বাতায়নে আলোড়িত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কিশোর মন। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ। শৈশবেই বাংলার দুঃখী মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম দরদ ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছিল এবং দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘবের স্বপ্ন সঞ্চারিত হয়েছিল। কিশোর বয়সেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের দুঃখ মোচনে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারী শিক্ষা বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং তা বাস্তবায়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। একই সাথে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি সংবিধানে ‘সার্বজনীন অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা’ প্রদানকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-৭৩ সালে তৎকালে বিদ্যমান সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেন। ফলে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা লাভ করে।
বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের হৃদয়ে চির অম্লান চির ভাস্বর থাকবেন – অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট