নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে অনেক আগেই দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হতো। বাঙালি জাতি অনেক আগেই বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে চলে যেত।
গতকাল বুধবার গজারিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ তিনি হতেন পৃথিবীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। বিষয়টি বুঝতে পেরেই বিদেশি কুচক্রী মহল এদেশীয় স্বার্থান্বেষী কুচক্রীদের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের স্রোতধারাকে স্তব্ধ করতে তার উত্তরসূরি যেন না থাকে, সেজন্য শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল। তবে আল্লাহর অশেষ কৃপায় সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। এরপরও তারা থেমে থাকেনি। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে যান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কর্মী, একমাত্র শেখ হাসিনা নেতা। তিনি জাতির জনকের রক্তের উত্তরসূরি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মহাসীন চৌধুরী। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফি, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ শাহজাহান খাঁন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিকান্দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তানেস উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, আবুল বাশার, নিজাম দেওয়ান, কাউসার আলম খাঁন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম জয়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রানা সরকার, পারভেজ সুমন, হাবিবুল বাশার সজিব, মইনুল নিপু, দূর্জয় সরকার, তাসফিরুল কোরান শান্ত প্রমুখ। স্মরণ সভা শুরুর পূর্বে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি শোক র্যালী বের হয়ে রসূলপুর ঘুরে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হয়।