নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের কুশিলবদের দল বিএনপি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সঞ্চালনাকালে এ কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপির সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পার্টির শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, শিরীন আক্তার এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল হাসান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মাওলানা মোহাম্মদ আলী ফারুকী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার দুশমন প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকদের হাতে আমাদের মহান পথ প্রদর্শক, বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, সমকালীন বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, বিশ্বের লাঞ্চিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের পথিকৃৎ, মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ উপনিবেশবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ ও বর্ণ বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকচক্র রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করে। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের ঘৃণিত কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমান চক্র। এমনকী বিদেশে চাকুরি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়; বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের কুশিলব, ষড়যন্ত্রকারী এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে একত্রিত করে বিএনপি নামক দল সৃষ্টি করা হয়। বিএনপি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।