নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারসহ তার স্বজনদের প্রায় ৫৫ শতাংশ সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণসহ সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছেন না প্রতিপক্ষের কতিপয় আবু সাঈদ নামের জবরদখলকারীদের বাঁধার কারণে। বারবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার মুরুব্বিদের কাছে আবেদন নিবেদন করেও সীমানা নির্ধারণ করে জায়গা মেপে বুঝিয়ে মীমাংসায় আসছে না ওই আবু সাঈদ নামের জবরদখলকারীরা। উল্টো তারা অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারসহ তার স্বজনদের সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছে প্রতিপক্ষ আবু সাঈদ গংরা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ডেকরাপাড়া গ্রামের ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেন এ অভিযোগ করেন। এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ওই গ্রামে এ সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ ও জায়গা মেপে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার গেলেও দু’পক্ষের বাকবিতন্ডাসহ সম্পত্তির ক্রয়-বিক্রয়ের জটিলতার কারণে সীমানা নির্ধারণ না করে সার্ভেয়ার ফিরে যান। গত ২৬/০১/২১ইং তারিখে ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেন তাদের সম্পত্তির সঠিক মাপ ও সীমানা নির্ধারণের আইনি সহায়তা চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর এক লিখিত আবেদন করলে তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সদর উপজেলা (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার ওই ঘটনাস্থলে আসেন। জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, আমিন কোর্ট কর্পোরেট শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পৈত্রিক ওয়ারিশ ও ক্রয়কৃত মোট সম্পত্তি ৫৫ শতাংশ। বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ডেকরাপাড়া গ্রামের ১০৮ নং চুড়াইন মৌজার ৩১১ নং খতিয়ানের সিএস দাগ নং-১৩৩২ ও আরএস দাগ নং-১৪৮৭ জমির ৯৯ শতাংশ। এই জমির ক্রয়সৃত্রে ও মায়ের ওয়ারিশ সৃত্রে এসএ ও আরএস রেকর্ডসহ এবং নামজারি রেকর্ডমূলে ৪৯.৫০ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ওই ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেনের বাবা মরহুম মোহাম্মদ মকবুল হোসেন হাওলাদার। জমির মালিক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন হাওলাদারের মৃত্যুর পর তার ৫ সন্তানসহ স্ত্রী ওয়ারিশসূত্রে মলিক। বর্তমানে তার সন্তানেরা এ সম্পত্তিতে বসবাস করছেন। কিন্তু বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি এখনো। আরো জানা গেছে, উক্ত দাগের ৩১২ নং খতিয়ানের সিএস দাগ নং-১৩২৮ জমির পরিমান ২২ শতাংশের মধ্যে ক্রয়সূত্রে এবং নামজারি রেকর্ডসহ ৫.৫০ শতাংশের মালিক ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ তার ৫ ভাই। এদিকে ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ৪৯ শতাংশ সম্পত্তি থেকে ২৩ শতাংশ সম্পত্তি ভোগ করতে পারলেও বাকী সাড়ে ২৬ শতাংশ সম্পত্তি আমাদের দখলে নেই। আমাদের এই সম্পত্তি আবু সাঈদ গং জবরদখল করে রেখেছে। তিনি আরো জানান, অপরদিকে ২০১৮ সালে টিটু মাদবরের ছেলে ইব্রাহিমের কাছ থেকে আমার বড় ভাই নূর হোসেন গং ক্রয় করেন। এই ক্রয়কৃত সম্পত্তিও তারা আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। এদিকে নূর হোসেন ও তার ছোট ভাই ব্যাংকার মোহাম্মদ কামাল হোসেনের করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষ আবু সাঈদ।