নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত সেতু নির্মাণের অগ্রযাত্রা বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (৩০ মে) সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭নং পিয়ারে বসানো হবে ৩০ তম স্প্যান ‘৫-বি’। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৪ হাজার ৫শ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ। ২৯ তম স্প্যান বসানোর ২৭ দিনের মাথায় ৩০ তম স্প্যানটি বসানো হবে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের মুন্সীগঞ্জের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩০ তম স্প্যানটি নির্ধারিত ২টি পিয়ারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে শনিবার সকালে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে চীন থেকে পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয় মালামালের সর্বশেষ চালান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে গত ১৪ মে। যা আগামী ১৫ জুন মাওয়া এসে পৌঁছবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ২৯টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।