নিজস্ব প্রতিবেদক
যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় বিটিসিএল মুন্সীগঞ্জের অফিস জিও ফোনের আওতায় আসেনি বলে খবর পাওয়া গেছে। মুন্সীগঞ্জ জিও ফোনের আওতায় আসলে টেলিফোনের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের আধুনিক সুবিধা ভোগ করতে পারতো এ জনপদের মানুষ। কেন এ সুবিধা এখানে আসলো না সেই বিষয়ে রহস্যজনকভাবে কেউ কোন কথা বলতে চাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জের বিটিসিএল ফাইবার অপটিকেলের আওতায় আসলেও সুষম সুবিধা থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরের অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ বিটিসিএল অফিস থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরের বিটিসিএল অফিস পর্যন্ত ফাইবার অপটিকেলের সংযুক্তি ঘটানো হয়েছে। এর আধুনিক সুবিধা কতোটুকু ভোগ করছে মুন্সীগঞ্জের মানুষ এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি অফিসগুলোতে বর্তমানে টেলিফোন সংযোগ রয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যে সেই সংযোগ অনেকটাই কম রয়েছে। আবাসিক এলাকায় সেই তুলনায় সংযোগ অনেকটাই কম বলে শোনা যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের বিটিসিএল এর আধুনিক সুযোগ ও সুবিধার কথা সাধারণ মানুষ সেইভাবে জানে না বলে এখানে এর গ্রাহকের সংখ্যা অনেকটাই কম বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের বাংলাবাজার ও শিলই ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিকেলের আধুনিক সংযুক্তি ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে বলে মুন্সীগঞ্জের বিটিসিএল এর সূত্রে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জে আধুনিক সুযোগ ও সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে বিপুল অর্থে বিটিসিএল এর নতুন অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই সেটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই নতুন ভবনের পলেস্তার এখন খসে খসে পড়ছে। এর ফলে এ নতুন ভবনটি দেখতে এখন খারাপ দেখাচ্ছে। এখানে নতুন ভবন নির্মাণ করে এর ঠিকাদার বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জের বিটিসিএল এর দায়িত্বরত সুলতান আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, মুন্সীগঞ্জ শহরে ৩শ’র মতো টেলিফোন সংযোগ চালু রয়েছে। অন্যদিকে মিরকাদিমে ৭শ’র মতো টেলিফোন চালু রয়েছে।