নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বাংলা বাঙালি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির চেতনার ধনমীতে প্রবাহিত শুদ্ধতম নাম শেখ মুজিব। তিনি চিরন্তন- চিরঞ্জীব; স্বাধীনতা ও মুক্তির মূর্ত প্রতীক, বাঙালির কণ্ঠে উচ্চারিত শব্দের প্রাণশক্তিÑ প্রত্যেকটি বর্ণমালার জাগরণী চেতনা। মুক্তিকামী মানুষের স্লোগানের নাম শেখ মুজিব।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মুন্সীরহাট, কলেজপাড়া, লঞ্চঘাট, হাটলক্ষ্মীগঞ্জ, ইদ্রাকপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মকবুল হোসেন, নার্গিস আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন এদেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় ও কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন, দুইবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি, পরাভব মানেন নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। যার জন্য জীবনে তিনি জেল-জুলুম-হুলিয়া কোনকিছুই পরোয়া করেননি। শত যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট-বেদনাকে তিনি সহ্য করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকের নির্মম বুলেটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড শুধু বাঙালির ইতিহাসের বর্বরতম নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড নয়, মানব ইতিহাসেরও বটে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি স্বৈরশাসকরা স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার বিকৃত ইতিহাস ও মূল্যবোধের বিস্তার ঘটানোর পাঁয়তারা চালায়। খুনিরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক-স্বৈরাচার তিন দশক ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শেখাবার অপচেষ্টা চালায়। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির অনির্বাণ হয়ে প্রজ¦লিত থেকেছে প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে।