নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা ও বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার মুন্সীগঞ্জ অনিয়মিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত নাট্যোৎসব ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল বীন সামাদ শুভ্র এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি খালেদা খানম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসাইন জাকির, অনিয়মিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক এড. মাহমুদ হাসান সাগর।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, মানুষের প্রাণশক্তিই হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য একটি জাতিসত্ত্বার প্রধান নির্ণয়ক। সংস্কৃতি হলো একটি জাতির সামগ্রিক পরিচয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচ্ছদপটেই পরিস্ফুটিত হয় একটি জাতির আত্মপরিচয়। একটি সমাজের সার্বিক পরিচিতি, আচার-আচরণ, তাদের আবহমান ঐতিহ্য, অভ্যাস, রীতি-নীতি ইত্যাদির সমন্বয়ে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি একটি সমাজের নির্দিষ্ট স্বরূপ নির্ণয় করে এবং মূল্যবোধ, বিশ্বাস, শিল্প-সাহিত্য এবং সাধারণ আচার-আচরণ পদ্ধতিগুলোর উপাদান গঠনে সহযোগিতা করে। যে জাতি যত বেশি নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে সে জাতি তত বেশি এগিয়ে যায়। সংস্কৃতি একটি জাতির ভাগ্যোন্নয়নে তথা একটি জাতি রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাষা অন্যান্য প্রভাবশালী ভাষা সংস্কৃতির মতোই একটি সজীব, সচল ও আত্মীকরণশীল।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকেই স্বাধিকার অতঃপর স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলা ভাষার মর্যাদা ও বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।