———এড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
সদর উপজেলার ২৪টি স্থানে জাতীয় শোক দিবসের দোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আপনজন। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না বরং সময়ের সাথে সাথে ইতিহাসে আরও সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবেন তিনি।
গতকাল রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী, বজ্রযোগিনী, রামপাল ইউনিয়নের ২৪টি স্থানে দোয়া মাহফিল, গণভোজ ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, জেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু, কৃষক লীগ সভাপতি মহাসীন মাখন, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক মোর্শেদা আক্তার লিপি, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেরুন নেছা নাজমা, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মকবুল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম সিরাজী রোমান, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বঙ্গবন্ধু নীতি ও আদর্শে সব সময় দৃঢ় প্রতীজ্ঞ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকান্ডের প্রেরণা ছিল মানুষ। দেশমাতৃকার জন্য গভীর ভালবাসা ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় তদানিন্তন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করে স্বাধীনতা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। যার জন্য জীবনে তিনি জেল-জুলুম-হুলিয়া কোনকিছুই পরোয়া করেননি। শত যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট-বেদনাকে তিনি সহ্য করেছেন। ফাঁসির মঞ্চও যাঁর কাছে ছিল তুচ্ছ তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বীরত্বপূর্ণ গৌরবগাঁথা নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনা সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীন ভূ-খন্ড প্রতিষ্ঠায় চূড়ান্ত আত্মত্যাগে প্রতীজ্ঞ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়ণের কাছে মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের ত্যাগ ও সংগ্রামের পরিফল আমাদের এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তার্জিত মুক্তিযুদ্ধের অর্জন, বিজয়, আদর্শ সবকিছুকেই গুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল ঘাতকরা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্ত্বা। বাংলাদেশ যত দিন থাকবে বঙ্গবন্ধু ততদিন থাকবেন। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু সূর্যের কিরণের মতোই ইতিহাসের পাতায় সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবেন চিরকাল।