নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছিলো। সরকারি হিসাবে এ বছর বন্যা ও নদী ভাঙনে জেলার ৬টি উপজেলার মোট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৮৩টি পরিবার। আর এদের মধ্যে ৭৫৩টি পরিবার জেলার ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলো। তবে বিগত কয়েকদিন ধরেই জেলার বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারগুলোর অনেকই ফিরতে শুরু করেছে বাড়ি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস এবং উপজেলা প্রশাসন সূত্র মতে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত সাড়ে ৪ শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরেছে। তবে এখনো ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ৩০২টি পরিবার। এর মধ্যে আশ্রিত পুরুষ সংখ্যা ৪৩৬ , নারী ৫৪২ ও শিশু ২১২ জন। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, পানি কমতে শুরু করায় অনেকই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এতে ফাঁকা হয়ে আসছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। যারা বাড়ি ফিরছে তাদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। এর বাইরে আপাতত আমাদের কোন কর্মসূচি নেই। তবে যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ভেঙে গেছে তাদের জন্য পরবর্তীতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত জেলার ৪৪টি ইউনিয়নে ৩১৯টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ। এতে মাছচাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। আর বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ৫৩৭ মেট্রিকটন চাল ও ৫ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৫ লক্ষ, গো খাদ্যের জন্য ১১ লক্ষ ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।