নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে বিএনপি-জামাত অপশক্তির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে প্রতিহত করুন।
গতকাল শনিবার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল-মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সালমা হাই টুনি, মেহেরুন নেছা উত্তরা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন, মনিরুল হক মিঠু, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, কামরুল হাসান ফরায়েজী, ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, শহীদুজ্জামান জুয়েল, মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোজাম্মেল হক, সারওয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতের সকল সঙ্কট, অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ জয় করে বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে তখন বিএনপি-জামাত অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওরা ষড়যন্ত্রের পথে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত অপশক্তির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ওই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির প্রতীক, উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন-সাধ বাস্তবায়নে সকলকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় আবারও তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী রূপান্তর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামকে সার্থক রূপে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-আধুনিক প্রগতিশীল মানবিক-কল্যাণকর ও প্রযুক্তিবান্ধব সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে।