নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বিকালে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৪টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন এটি। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়াও ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন, কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী সালেহ বিন গানেম আল আলী, আজারবাইজানের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আজাদ রহিম, আইসিওয়াইএফের প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ানের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী বিকেল ৪টায় অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দোহা থেকে ঢাকার কাছে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল চাবি হস্তান্তর করবেন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের বারো শতাধিক তরুণ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেন। এদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১০০ জন ও বিশ্বের ১৫০ জন যুবক অংশগ্রহণ করবেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। দুই দিনবাপী এই আয়োজনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সরকার যে মানবিক সহায়তা করছে সেটিও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াসে তাদের নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ এর স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে গত ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গৌরবজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করে। সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে থাকবে কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে যুবসমাজ এবং প্রযুক্তি-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে সেশন। বছরব্যাপী পরিকল্পনাকৃত অন্য অনুষ্ঠানসমূহ হলো-কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা, ফিল্ম ফেস্টিভাল, চিত্রকলা প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্কাউটক্যাম্প, এন্টারপ্রেনারশিপ, স্কিল ও এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্প এবং কুইজ প্রতিযোগিতা।