ক্রীড়া ডেস্ক
গতবছর ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল বারবাডোস বংশোদ্ভূত জফরা আর্চারের। বল হাতে ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ উইকেট শিকার তার। বিশেষ করে ফাইনালে রোমাঞ্চে ঠাঁসা ম্যাচে সুপার ওভার সামলোনার দায়িত্ব পেয়ে করেছেন বাজিমাত। শিরোপা জয়ী দলের সদস্য হিসেবে পেয়েছেন আইসিসির বিশেষ মেডেল, যা ইংল্যান্ড স্কোয়াডের সব ক্রিকেটারই পেয়েছিল। কিন্তু এই বিশেষ মেডেলটিই কিনা হারিয়ে বসেছেন জফরা আর্চার।
২৫ বছর বয়সী এই পেসার ইতোমধ্যে হারানো মেডেল খুঁজতে খুঁজতে পাগলপ্রায়। বিশেষ ওই পদকটি এখন কোথায় বিবিসি রেডিওর এমন প্রশ্নে আর্চার বলেন, ‘আমার নিজেরই একটি প্রতিকৃতিতে এটি ঝুলিয়ে দিয়েছিল কেউ একজন, মেডেলটি সেখানেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।’
‘আমি আমার বাসা পরিবর্তন করেছি, ছবিটি দেওয়ালে ঝুলছে কিন্তু সেখানে এখন ঐ মেডেলটি নেই। এক সপ্তাহের মত হবে আমি ফ্ল্যাট বদলেছি কিন্তু এখনো আমি মেডেলটি খুঁজে পাচ্ছিনা।’
খুঁজতে খুঁজতে পাগল হওয়ার উপক্রম হয়েছে আর্চারের বলছেন নিজেই, ‘আমি জানি এটা বাড়ির ভেতরেই কোথাও থাকার কথা। আর সে কারণে আমি এটা পাওয়ার জন্য বেশ নজর দিচ্ছি। কিন্তু এটা খুঁজে পেতে আমি ইতোমধ্যে পাগল হওয়ার মত অবস্থায়।’
করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে সব ধরণের ক্রিকেট বন্ধ। গতমাসে বারবাডোস থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে আসা এই পেসার বলছেন করোনার ফলে মেডেলটি খুঁজতে সে বেশ ভালো সময় পাচ্ছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেই ঐতিহাসিক সুপার ওভার নিয়ে বলতে গিয়ে আর্চার জানান, ‘আমাকে যখন বেছে নিল আমি উত্তর দিয়েছি অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ হুট করে হওয়াতে নেমেই নিজেকে তাঁতিয়ে নিতে হয়েছে। এর মানে এই নয় যে আমি এটি চাইনি। আমি শুধু স্বেচ্ছাসেবীর পদে আছি বলে মনে করি নি।’
‘আমি মাত্রই দলে এসেছি, কয়েকটা ম্যাচও খেলেছি স্কোয়াডে থেকে। আমার কাছে মনে হয়নি স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার মত সময় ছিল ওটা আমার জন্য। এটি পুরো টুর্নামেন্টের একমাত্র সুপার ওভার ছিল। এটার জন্য ভাবিনি কিংবা প্রস্তুতিও নিইনি এই পরিস্থিতির জন্য। এটা আসলে ঘটে গেছে।’