নিজস্ব প্রতিবেদক
এখন থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও নিয়মিত জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে। ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গেল ৫ আগস্ট দেশে এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ বাড়ানোর পর সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে ৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর রাতেই ফেসবুকে পোস্ট দেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
ওই পোস্টে নসরুল হামিদ লিখেছেন, ‘আমরা এখনও মনে করি সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ একটু ধৈর্য ধরুন। আশা করি, এই কঠিন সময় খুব বেশিদিন থাকবে না।’
‘জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ডিজেলের মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল ১৪৭.৬২ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮.৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রি করলেও প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯.৬১ টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সবাইকে একটা তথ্য জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।’ দাম কমানোর পর এখন জ্বালানির দাম কত হবে তার তালিকাও পোস্টে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও এখন থেকে নিয়মিত মূল্য সমন্বয় করা হবে।
গত রবিবার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় পাঁচ শতাংশ আগাম কর। কিন্তু বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম এখন ১৪০ ডলারের বেশি। বিপিসি বলছে, শুল্ক কমানোর পরও ঘাটতিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দেশে নিয়মিত সমন্বয় হবে জ্বালানি তেলের দাম
আগের পোস্ট