নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক তরুণীর (১৯) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন এক যুবক। এরপর প্রেমিক মনতুস মনিদাস (২৪) বিয়ের কথা বলে গত ১৫ জুলাই দুপুরে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তরুণীকে। পরে প্রেমিক মনতুস মনিদাসের মা অহুলী মনিদাস, বাবা প্রবাদ মনিদাস, মামা পলাশ মনিদাস, উজ্জ্বল মনিদাস ঐ তরুণীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে গত ১৯ জুলাই উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের মনিপাড়া মন্দিরে বিচার সালিশ হয়। সালিশে তরুণীকে ৫০ হাজার টাকা দিবে বলে জোর করে স্বাক্ষর নেয় তরুণী ও তার বাবা-মায়ের। তরুণী গত ২২ জুলাই শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জকে বিস্তারিত জানালে তরুণীকে এবং সালিশকারীদের তদন্ত কেন্দ্রে ডেকে এনে বহু দেনদরবার করে একদিনের সময় নেন। গত ২৩ জুলাই তরুণী মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানান। জেলা প্রশাসক সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তরুণী সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে নির্বাহী কর্মকর্তা শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যানকে এ বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেন। গতকাল রবিবার শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে দেনদরবার করলেও কোনো সুরাহা দিতে পারেনি। পরে তরুণী সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন তরুণী ও তার স্বজনরা। এ বিষয়ে শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টা নিয়ে বহুদিন যাবৎ দেনদরবার চলছে। মেয়েটি ডিসি স্যারকেও জানিয়েছে। ইউএনও স্যার আমাকে এবং চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দুইপক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছেলের বাবা-মায়ের জন্য সম্ভব হয়নাই। তাই মেয়েটাকে বলেছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।