নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে আবার বেড়েছে আলুর দাম। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মুন্সীগঞ্জের বাজারগুলোতে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে। কোনো কোনো বাজারে সাধারণ মানের আলু ৪০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। তবে সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে আলুর দাম গত বছরের তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেশি।
জানা যায়, মৌসুম শুরু হওয়ার পর বাজারে আলু সাধারণত ২০ টাকা কেজির মধ্যে থাকে। শীতের আগে যখন মজুদ শেষের দিকে থাকে, তখন প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এবার প্রবণতা ভিন্ন। গত মার্চে যে আলু হিমাগারে ঢুকেছিল, ৪ মাস পেরোতেই সেটা কেজি প্রতি ৪০ টাকায় উঠে গেছে। নতুন মৌসুমের আলু পুরোদমে বাজারে আসতে আরও ২ মাস বাকি আছে। এ বছর মৌসুম চলাকালীন সময়েও আলুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। যেসব আলু হিমাগারে রাখা হয়েছে তা প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দর পড়েছে। হিমাগারে রাখার খরচসহ প্রতি কেজি আলুতে ব্যয় ২২ থেকে ২৩ টাকা।
মুক্তারপুর আলুর আড়তের ব্যবস্থাপক মোঃ হানিফ বলেন, গত মৌসুমে কৃষকরা হিমাগারে আলু কম রেখেছেন। বেশি রেখেছেন বড় ব্যবসায়ীরা। তারা এখন আলুতে ব্যাপক মুনাফা করছেন। তিনি দাবি করেন, এসব আলু কেনা ও হিমাগারে রাখতে খরচ পড়েছে প্রতি কেজি ১২ টাকার আশপাশে।
নুরুন্নবী নামের একজন সাধারণ ক্রেতা জানান, তিনি ফুটপাতে পোশাক বিক্রি করে আগের মতো আয় করতে পারছেন না। তবে সেই তুলনায় বাজার খরচ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর দামটা একটু কম ছিল। কিন্তু এখন সেই আলুর দামও বেড়ে গেল। সব মিলিয়ে বাজার খরচ নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। এদিকে বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি হাজী মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, সরকার কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি বীজ আলু ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করেছে। তিনি দাবী জানান, প্রতি কেজি বীজ আলু ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা করা হোক। তিনি আরো বলেন, কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার প্রতিবছর কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে কৃষিখাতে ব্যাপক অবদান রাখছে অথচ বীজআলুর অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় কৃষকের আলু উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা। বীজআলুর অতিরিক্ত মূল্য কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা বিএডিসির বীজ আলুর অতিরিক্ত মূল্য হ্রাসকরণে জোর দাবি জানাচ্ছি।