নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে লকডাউন চলছে। মানুষজন চার দেয়ালে বন্দী জীবনযাপন করছে। লকডাউনের বন্দী সময় পার করতে অনেকে বাড়ীতে ক্যারাম খেলছেন। কেউবা আবার টিভি দেখে সময় পার করছেন। কিন্তু সাংবাদিক চমক লকডাউনের বন্দী সময় কাটাচ্ছেন বাড়ীর চারপাশে রোপণকৃত ফলজ ও বনজ গাছের যত্ন নিয়ে। তিনি সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি দৈনিক আমাদের সময় ও দৈনিক আমাদের অর্থীনীতি পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাড়ীতে প্রবেশ করতেই বুঝতে পারবেন তিনি একজন বৃক্ষপ্রেমিক মানুষ। পেশাগত কাজে তিনি যেখানেই যান বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ সংগ্রহ করে নিয়ে এসে বাড়ীর চারপাশে রোপণ করেন। তার বাড়ীতে তিনি সংরক্ষণ করেছেন বিভিন্ন জাতের ফুল ও ফলের গাছ। ১১টি জাতের ফুলের মধ্যে গোলাপ, রজনী গন্ধা, বেলী, ৫ রকমের ক্যাক্টাস, অর্কিডসহ দেশীয় বেশ কয়েকটি জাতের ফুলগাছ তার বাড়ীর আঙিনায় রোপণ করেছেন। এগুলোর বেশীরভাগই বছর জুড়ে ফুল ফোটে। এছাড়া তিনি বাড়ীর চারপাশে বিভিন্ন জাতের ফল গাছ রোপণ করেছেন। এর মধ্যে সুন্দরী, ফজলি, বৈশাখী জাতের আম গাছ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আঙ্গুর, কাঁঠাল, আমড়া, লিচু, লটকন, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আতা, ডালিম, কদবেল, পেঁপে, কলা, বিলাতি গাব, বড়ই, কামরাঙ্গা, জলপাই, জামরুল।
জাহাঙ্গীর আলম চমক বলেন, বাড়ীর আঙিনায় ফল ও ফুল গাছগুলো মূলত শখের বসে রোপণ করেছি। তবে আমার মতে বাড়ীর আঙিনায় প্রতিটি মানুষের উচিত ফল ও ফুলের গাছ লাগানো। এতে করে পরিবারের লোকজনের ফলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। আর ফুল গাছ লাগালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বাড়ে।