নিজস্ব প্রতিবেদক
গলায় সাপ নিয়ে লৌহজং-শিমুলিয়া এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। সাপ দেখলে অনেকেরই গা শিউরে ওঠে। আর এই ভয়কে পুঁজি করে বেঁদেরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। শিমুলিয়া ঘুরে ঘুরে নাছোড়বান্দার মতো টাকা আদায় করে তারা। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা মেলে সাপ দেখিয়ে চাঁদাবাজির এক ভয়ানক দৃশ্য। দেখা গেছে, গলায় সাপ নিয়ে বিভিন্ন দোকানসহ সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে টাকা চাচ্ছেন বেঁদে পল্লীর ময়না খাতুন নামে এক নারী। এ দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ভয়েই অনেকে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। আর টাকা না দিলে সাপ এগিয়ে ধরে সেটির জিহ্বা নাড়ানোর দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। বিশেষ করে ভদ্রলোকদের পথ রোধ করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। ময়না খাতুন নামে এই বেঁদে নারীর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের খয়রা গ্রামে। সাপের ভয় দেখিয়ে টাকা উপার্জন করে সংসার চালায় তারা।
ময়না খাতুন বলেন, ছেলেকে মানুষ করার জন্য পথে পথে ঘুরে সাপ দেখিয়ে টাকা নেই। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা আয় হয়। এ দিয়েই সংসার চলে। আমার মতো অনেকেই সাপ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রোজগার করে। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানান, বেঁদে নারীদের চাহিদামতো টাকা না দিলে সাপের ভয় দেখানো হয়। পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষদের থামিয়ে সাপের ভয় দেখানো হয়। এতে অনেকেই ভয় পেয়ে টাকা দিতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বেঁদে সম্প্রদায়ের চাঁদাবাজি, রুখবে কে?
আগের পোস্ট