নিজস্ব প্রতিবেদক
গত সপ্তাহের কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ায় লাগাতার বৃষ্টিতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বণিক্যপাড়ায় আগাম বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাটিতে সারা বছরই বীজতলার সবজি আবাদের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। এখানে বেশিরভাগই ফুলকপির চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। বাজারে যে বারো মাস ফুলকপি পাওয়া যায় তা এখান থেকেই উৎপাদিত হয়। এখানে দেশি জাতীয় ফুলকপির চারা উৎপাদন করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই এখানে এর চারা উৎপাদনের প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়ে থাকে। শ্রাবণ মাসের দিকে এ বীজতলার ব্যবসা জমজমাট হতে থাকে বলে এখানকার পরিচর্যার সাথে জড়িত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানিয়েছে। বর্তমানে এখানে কার্তিক মাসের দেশি ফুলকপির বীজতলার চারাগাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এ মাসে যে ফুলকপির চারা বিক্রি হচ্ছে তা স্থানীয় ভাষায় বলা হচ্ছে কাইটা কপির চারা। অগ্রহায়ণ মাসে যে ফুলকপির চারা বিক্রি হয় তার নাম হচ্ছে শাইটা কপির চারা। পৌষ মাসে যে কপির চারা বিক্রি হয় তার নাম হচ্ছে সাতাত্তর ও সিরাজি কপির চারা। মাঘ মাসে যে বীজতলার চারা বিক্রি হয়ে থাকে তার নাম হচ্ছে হেমাদি কপির চারা। মাঘ মাসের শেষের দিকে থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত যে বীজতলার চারা বিক্রি হয়ে থাকে তার নাম হচ্ছে স্নো হোয়াইট কপি চারা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। শীতকালীন ফুলকপি সাধারণত অনেক বড় আকারে হয়ে থাকে। এর স্বাদও অনেক ভালো। আর এ মৌসুমের পর বাজারে যেসব ফুলকপি পাওয়া যায় তা দেশীয় উৎপাদন হিসেবে এর আকার অনেকটাই ছোট ছোট হয়ে থাকে। স্নো হোয়াইট ফুলকপি সিজনের পর উৎপাদন হয়ে থাকে বলে এটি অনেকটাই সাদা আকারে দেখা যায় বাজারে। এখানকার বীজতলার চারা ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে ও গাজীপুরে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এখান থেকে লাখ লাখ বীজতলার চারা কপি বিক্রি হয়ে থাকে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবারের বৃষ্টিতে এখানে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বীজতলার চারাগাছ নষ্ট হয়েছে বলে এখানকার চাষীরা জানিয়েছে।