নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন সংলগ্ন চাঁনগাঁও চরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ১ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দু’দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাগ্যকুলের স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মা ইলিশের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষ। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ভাগ্যকুল খালপার এলাকার বাসিন্দা সোহেলের ট্রলারের পাখার সাথে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ ধরার জন্য আগে থেকে পেতে রাখা চাঁনগাঁও চরের অবৈধ বাসিন্দা নুরু বয়াতির লোকজনের জাল কেটে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলসহ ২ জনকে মারধর করে আটকে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম সর্দার মীমাংসার জন্য গেলে তারা নাজিম সর্দারসহ তার সাথে থাকা বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নাজিম সর্দার জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে চাঁনগাঁও চরে মীমাংসার জন্য গেলে নুরু বয়াতি ও তাদের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে জানতে পারি, এ ঘটনায় কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সামনে ইউপি নির্বাচন। তাই আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রীমহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নুরু বয়াতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাল বাওয়া নিয়ে চরের ও ভাগ্যকুল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দু’দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার দুই স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে ফুলতলা একটি হাসপাতালে ও বাকিদের বাঘড়াবাজার থেকে ঔষধ এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাগ্যকুল খালপার এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, চরে আমার ভাইসহ দুইজনকে আটকে রাখার খবর জানতে পেরে চাঁনগাঁও চরে গেলে নুরু বয়াতির ৪০-৫০ জন লোকজন আমি ও আমার ভাইসহ মোট ১৫-১৬ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এর মধ্যে ৭-৮ জন মারাত্মক জখম হয়েছে। আহতদের সবাইকেই শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমার ভাই সোহেল ও রুবেল খাঁ কে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে আমার ভাই মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা ভালো না।
এ ঘটনায় নুরু বয়াতি মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (৩) নং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ও গুরুতর আহত সোহেলের ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।