নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নামাজ পড়তে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ এলাকাবাসীর। প্রায় একমাস যাবৎ এমন জলাবদ্ধতায় অতিষ্ঠ মান্দ্রা গ্রামের সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ ওই গ্রামের আরো অন্তত ২০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। জলাবদ্ধতার জন্য তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন। স্থানীয়রা জানায়, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা উঁচু করায় ও প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না রাখার কারণে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মান্দ্রা গ্রামের মানুষদের। ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বজলুর রহমান সরদার জানান, প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রায় একমাস যাবৎ আমাদের মসজিদের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের। খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও আমাদের ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অধীনে মারকাজুল উলুম নামের একটি মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের পানিবন্দী অবস্থায় লেখাপড়া করতে হচ্ছে।স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ মুসল্লীরা। স্থানীয় হারিজুর রহমান সরদার জানায়, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম সরদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ভাগ্যকুল মান্দ্রায় জলাবদ্ধতা ; ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
আগের পোস্ট