নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরা ইউনিয়নে অবস্থিত কুসুমপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় বৃষ্টি আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। নিহত বৃষ্টি ঢাকার খিলগাঁও এলাকার মো. শহীদের মেয়ে। হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তৃক ভুল চিকিৎসায় কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের দায়িত্ব নেয় জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন। এলক্ষ্যে গত ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কুসুমপুর গ্রামে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরনের নিজ বাড়ীতে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনদের ডেকে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু উক্ত সালিশে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন, স্থানীয় দুই শতাধিক লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এতে স্থানীয় ও উপস্থিত লোকজনের মাঝে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় আপোষ মীমাংসার দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রাতে ডেকে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়ে সালিশ পন্ড করেন। এদিকে রাত ৯টা ১৬ মিনিটে জৈনসার ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদুর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমরা মীমাংসায় রয়েছি। এখনো মীমাংসা চলছে। বিকালে স্থানীয় লোকজন ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে আপোষ মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও বিকালে সালিশ পন্ড করে রাতের বেলায় আপোষ মীমাংসার বিষয়টি ন্যায়বিচারে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত বহন করে। অন্যদিকে হাসপাতালের একাংশের মালিকানাধীন ব্যক্তির সাথে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর আত্মীয়তা রয়েছে। ওই প্রভাবশালীর প্রভাব ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে। নিহত বৃষ্টির মামা মোঃ হাবিব হাসান জানান, গত ১৭ আগস্ট রাতে চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকজনের সামনে তারা তিনদিনের সময় নিয়েছে। তিনদিন পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য আবারও বসা হবে।