নিজস্ব প্রতিবেদক
মসজিদ মাদ্রাসার আয়ের পথ বন্ধের পায়তারার বিরুদ্ধে শ্রীনগরে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে তিনটি মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসীসহ প্রায় ৩ শতাধিক লোক উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর বানিয়াবাড়ি উত্তর বালাশুর স্বতন্ত্র এবতেদায়ী ইসলামী মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে। এসময় প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় কফিল বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, হাজী আনছার আলী বেপারীসহ একাধিক ব্যক্তি তাদের বক্তব্যে বলেন, উপজেলার রাঢ়ীখাল মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত আর.এস ১৩৮৬ নং দাগের ২শত ৩৯ শতাংশ একটি পুকুর রয়েছে। আর পুকুরের মৎস্য চাষের আয়ের অংশ দিয়ে বাইনাবাড়ি উত্তর বালাশুর স্বতন্ত্র এবঃ ইসঃ মাদ্রাসা, বানিয়াবাড়ি পুরাতন জামে মসজিদ, বাইতুল নূর জামে মসজিদের একমাত্র আয়ের পথ। বক্তারা আরো বলেন, পুকুটির চার পাশে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ২ হাজার লোক দীর্ঘ প্রায় ১৫০ বছর ধরে নিজেদের সাংসারিক কাজ, রান্নাবান্না, ধোয়ামাজাসহ গোসলের কাজ পুকুরের এ পানি ব্যবহার করে আসছে। আর বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে বিগত ইংরেজি ১৯৮৪ সালের ৩ অক্টোবর মাননীয় ডেপুটি কমিশনার স্থানীয় সাধারণের পানীয় জলের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে পুকুরটি বন্দোবস্তের বর্হিভূত মর্মে আদেশ প্রদান করেন। অথচ বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় মৃত শুকুর মীরের প্রভাবশালী ছেলে রঞ্জু মীর ও তার ছেলে এডভোকেট জাহিদ জনিকে নিয়ে পুকুরটি ভোগ দখলের চেষ্টা করে আসছিল। শুধু তাই নয়, রঞ্জু মীরের আরেক ছেলে জামিল মীর এন এস আইতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে সদ্য চাকুরি প্রাপ্ত হয়েছেন। অথচ রঞ্জু মীর এলাকায় প্রচার করে বেড়ায় তার ছেলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করেন। পুকুরটি রঞ্জু মীর তার ভোগদখলে নিতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারের রাজস্ব আয়ের যুক্তি দেখিয়ে পুকুরটি সরকারিভাবে বন্দোবস্ত দেয়ার ব্যবস্থা করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। ফলশ্রুতিতে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে পুকুরটির ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কামিশনার (ভূমি) কে তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। মসজিদ, মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর স্বার্থে খাস পুকুরটি সরকারীভাবে বন্দোবস্ত না দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী ইংরেজি ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর স্বার্থে পুকুরটি সরকারীভাবে বন্দোবস্ত না দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।