নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাঁথা গণবীরত্বের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার ফাউন্ডেশন (এফ.এফ. ফাউন্ডেশন) এর উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথমদিন আলোচনা সভা ও আগামী প্রজন্মের হাই অফিসিয়াল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ফারুক হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন-একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস- স্বাধীনতার ইতিহাস।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাঁথা গণবীরত্বের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। এই সংগঠন ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি ও পরাজিত পাকিস্তানিদের এদেশীয় এজেন্টরা শক্তিশালী হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি পুনর্বাসিত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশবিরোধী এই অপশক্তি, যারা এখনোও অন্তরে পাকিস্তানি ভাবধারাকে লালন করে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ভূ-লুণ্ঠিত করতে হবে। ওরা এদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।