নিজস্ব প্রতিবেদক॥ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ফজুশাহ মাজারে মূর্তি মানতে রোগ মুক্তি হওয়ার কুসংস্কারকে পুঁজি করে চলতে থাকা খাদেমদের মূর্তি ব্যবসা বন্ধ করায় স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তারকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল। গত রবিবার মুন্সীগঞ্জের কাগজের মাধ্যমে মাজারের বিষয়টি অবহিত করার পরই একইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মূর্তি ব্যবসা বন্ধ করে দেন ইউএনও মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার। বিষয়টি নিয়ে জেলা স্থানীয় ও জাতীয় গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউএনওকে সাধুবাদ জানাতে থাকে সচেতন মহল। একই সাথে বিষয়টি যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তারা। মুন্সীগঞ্জের জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ বিক্রমপুর-মুন্সীগঞ্জ সোসাইটিতে কলেজ ছাত্র রিয়াদ আহমেদ লেখেছে, “ এযুগেও এমন কুসংস্কার !! তবে ধন্যবাদ জানাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এটি বন্ধ করার জন্য”। কেএম মোবারক হোসেন লিখেছে, অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ইউএনও স্যারকে। শরিফুল ইসলাম লিখেছেন,উত্তম কাজ করেছেন , আল্লাহ আপনাকে কল্যান দান করুক। টিপু লিখেছেন আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক। তারেক অপু মন্তব্য করেছেন “স্যালুট”।
এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে জেলার বিভিন্ন মহলের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ব ম শামীম জানান, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মাজার খাদেমরা নিজেদের সার্থ হাসিলের জন্য এমন কাজ চালাচ্ছিলো। ইউএনও ব্যবস্থা নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছি। চিকিৎসক ডা. ইকবাল আহমেদ জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে মাজার মূর্তি মানতে রোগ মুক্তির কোন ভিত্তিই নেই। ফজুশাহ মাজারে এমন কার্যকলাপ যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, শরীর কিংবা হাত-পায়ের যেকোন রোগে মাটির মূর্তি ও সদৃশ হাত-পা ফজুশাহ মাজারে মানত করলে ভালো হয়ে যায় রোগ! মাজারে মানতের ফলে মৃত্যুশয্যা থেকেও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে অনেকে! এমনই কুসংস্কারে গত কয়েক যুগ ধরেই টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আড়িয়ল ফজুঁশাহ মাজারে মূর্তি মানত ও করে আসছে সরল বিশ্বাসী স্থানীয় মানুষেরা। আর এ কুসংস্কারকে পুঁজি করে প্রতারণার মূর্তি বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছিল মাজারের স্বয়ং খাদেমরা। মুন্সীগঞ্জের কাগজের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই গত রবিবার রাতে মাজার প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়ে মূর্তির ব্যবসা বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার।