নিজস্ব প্রতিবেদক
কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে এখানকার শ্রমজীবী মানুষরা বেঁচে থাকার জন্য নিত্যদিন যুদ্ধ করছেন। কর্মের খাতিরে প্রতিদিন সকালে এখানে তারা আসেন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে। আর এ কর্ম শেষে বাড়ি ফিরে যান সেই সন্ধ্যার দিকে। তবে কাজের চাপ বেশি থাকলে অনেক সময় রাতেও তাদের বাড়ি ফিরতে হয় বলে তারা জানিয়েছেন। শতাধিক লোক এখানে এ কাজের সাথে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে। এটি হচ্ছে ফিরিঙ্গি বাজার চালের আড়ৎ এলাকায়। এ এলাকাকে কেন্দ্র করে এখানে যেমন চাউলের আড়ৎ গড়ে উঠেছে। তেমনি এখানে গড়ে উঠেছে অটো রাইস মিল। এ কারণে ধান কিংবা চাউলের বস্তা মাথায় উঠাতে প্রতিদিন ডাক পড়ে এখানকার শ্রমজীবী শ্রমিকদের। এখানে বেশিরভাগ সময় নদীতে অপেক্ষা করে বিশাল বিশাল বস্তা ভরা ধানের নৌকা। আর সেই নৌকা থেকে দুই মণের অর্থাৎ ৮০ কেজির ধানের বড় বড় বস্তা মাথায় করে নামিয়ে আনেন এই শ্রমিকরা। সেগুলো প্রতিদিন পায়ে হেঁটে তারা পৌঁছে দেন অটো রাইস মিলগুলোতে। সেখানে তারা সারি সারি ধানের বস্তা সাজিয়ে রাখেন খুব যত্ন করে। এগুলো নামানো আর উঠানোর সময় একজন ব্যক্তি তাদের হাতে কাঠি গুজে দেন। সেই হিসেবেই তারা টাকা ও পয়সা পেয়ে থাকেন অটো রাইস মিলের মালিকদের কাছ থেকে। এগুলো নামানো আর উঠানোতে তাদের ডাক নাম হচ্ছে মিনতি। চাউলের বস্তা নিয়ে তারা যখন এ দোকান থেকে অন্য দোকানে যাতায়াত করে থাকেন তখন তাদেরকে অনেকেই মিনতি বলে ডেকে থাকেন বলে শোনা যায়। এ কাজে তারা সারা মাসে কেউ কেউ ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা করে কামাই করে থাকেন বলে তাদের সূত্র মতে জানা গেছে।
মাথায় ধানের বস্তায় শ্রমজীবীদের নিত্যদিনের যুদ্ধ
আগের পোস্ট