নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে আলেম সমাজকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় মানবজাতিকে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল শনিবার ৫ মার্চ পৌরসভার কাটাখালী সুফিয়া নাহার মাদ্রাসার ২০২১ শিক্ষাবর্ষে কীর্তি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মুফতী সারওয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা জহির ইবনে মুসলিম। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, রেজাউল করিম তুহিন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ইসলাম মানবসম্পদ উন্নয়নে নীতি-নৈতিকতা ও আর্থসামাজিক অগ্রগতির বিষয়ে জোরালো তাগিদ দিয়েছে। যাতে একজন নীতিবান মানুষ সামাজিক কল্যাণ ও মানবিক উন্নয়নে সমর্থ হয় এবং ইহকাল ও পরকালে সাফল্য লাভ করে। সেজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে আলেমদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন। মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর একটি জাতির সার্বিক অগ্রগতি নির্ভর করে। যে জাতি মানবসম্পদকে যত বেশি কাজে লাগাতে পেরেছে, সে জাতি তত বেশি উন্নতি অর্জন করেছে। সেজন্য ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় মানবজাতিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, মাদক প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও সহিংসতা রোধ, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, কলহ-বিবাদের অবসান, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণসহ জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। একজন সৎ, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ইমাম পারেন সমাজকে আলোকিত করতে।